করোনা মোকাবিলায় যুদ্ধে তরুণেরা
করোনা ভাইরাস বা কেভিড-১৯ সারাবিশ্ব এখন বড় আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও এসেছে করোনার থাবা। সারা দেশ করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। করোনাভাইরাসের ভয়াবহতায় এ সময় অনেকেই যখন কর্মক্ষেত্র থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন ঠিক সেই মুহুর্তে যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রশাসনের নানা পদক্ষেপের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রায় ২০০ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে তরুণের একটি স্বেচ্ছাসেবী টিম।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান উল্লাহ শরিফীর আহ্বানে পৌরসভা ও ১৭ ইউনিয়নে টিম ভাগ করে গ্রামে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবী টিম। ইউএনও ইউনিয়নে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের সাথে মতবিনিময়ের পাশাপাশি ইউনিয়নে গঠিত স্বেচ্ছাসেবীর সাথে কথা বলে তাদের করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দিয়ে চলেছেন।
উপজেলায় একজন মেন্টরের (পরামর্শদাতা) দায়িত্ব পালন করছেন। তার মাধ্যমে প্রতি ইউনিয়নে গঠিত ১০ জনের মধ্যে একজন মেন্টরের দায়িত্ব পালন করছেন। পৌরসভায় ১ জন মেন্টর (পরামর্শদাতা) ও প্রতি ওয়ার্ডে ১০ জন করে সর্বমোট ৯০ জন স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব পালন করছেন। এজন্য উপজেলায় একটি কন্ট্রোলরুম (নিয়ন্ত্রণ কক্ষ) খোলা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীরা নিজ এলাকার খবরা-খবর নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আপডেট করছেন।
দেশের অন্যতম বৃহত্তম এ উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৫ লাখ জনগণের বসবাস। করোনারোধে সামজিক দূরত বজায় রাখতে সরকার জনসাধারণের চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপ করেছেন। এতে করে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ খাদ্য সংকটে পড়েছেন। অনেকেই এসব বিধি নিষেধ মানতে চাইছে না। ঠিক সেই সময় মণিরামপুরে স্বেচ্ছাসেবীরা হাটবাজারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সর্তক করা, দেশ বা দেশের বাইরে থেকে এলে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা, ওই বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেওয়া, লকডাউন এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের জিনিসপত্র সরবরাহ করা, লকডাউন এলাকা থেকে কেউ বের হলে তাদের আবার বাড়িতে বুঝিয়ে ঢোকানো। লকডাউন এলাকায় সার্বক্ষনিক নজরদারি করা। কেউ অসুস্থ হলে স্বেচ্ছাসেবীদের জানানো হলে হাসপাতালে নেওয়া, এলাকায় খাদ্য সহায়তা পাওয়া এবং না পাওয়াদের তালিকা প্রস্তুত ইত্যাদি কাজ কর যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। প্রয়োজন হলে জনপ্রতিনিধিদের সাহায্য করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
পৌরসভার মেন্টর আক্তারুজ্জামান জানায়, পৌর শহরে ইউএনও স্যারের দিক নির্দেশনায় ৯০ সদস্যদের স্বেচ্ছাসেবী টিম গঠন করা হয়েছে। তারা সবসময় সব শ্রেনীর মানুষের কল্যানে কাজ করে চলছে।
এ টিমের উপজেলা মেন্টর আল হেলাল মামুন জানান, ইতিমধ্যে পৌরসভাসহ উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে ২৩০ সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে বাকী ইউনিয়নে টিম গঠন করা হবে। যারা সর্বদা যেকোনা প্রয়োজনে ইউএনও স্যারের নির্দেশে এই দুর্যোগে মানুষকে সাহায্য করতে প্রস্তুত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহ শরিফী জানান, সমাজের অসহায়সহ সব শ্রেনীর মানুষের এ পরিস্থিতিতে কোনরকম অসুবিধা না হয়, সেইজন্য দায়িত্বশীলদের পাশাপাশি এ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছে। এখানে আমাদের দুইশ’র বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে। করোনা দূর্যোগের প্রথমেই তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছিলো আমরা একটা টিম তৈরি করেছি যার মাধ্যমে তারা চমৎকারভাবে কাজ করছে। উপজেলায় একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এছাড়াও পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে যার ফলে সবথেকে দূরবর্তী এলাকা থেকেও তাৎক্ষণিক তথ্য পাচ্ছি সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
The Red Cross recommends the following steps to help prevent the spread of germs duringthis situation:
1-Stay home if you can and avoid gatherings of more than ten people.
2. Practice social distancing by keeping a distance of about six feet from others if you must go out in public. 3. Wash your hands often with soap and water for at least 20 seconds, especially after being in a public place, or after blowing your nose, coughing or sneezing. If soap and water are not readily available, use a hand sanitizer with at least 60% alcohol.
4. Avoid touching your eyes, nose or mouth with unwashed hands. 5. Avoid close contact with people who are sick.
6. Stay home if you are sick, except to get medical care.
7. Cover your nose and mouth with a tissue when coughing or sneezing; throw used tissues in the trash. If a tissue isn’t available, cough or sneeze into your elbow or sleeve, not your hands.