Coronavirus Latest News of Bangladesh

The Red Cross recommends the following steps to help prevent the spread of germs duringthis situation: 1-Stay home if you can and avoid gatherings of more than ten people. 2. Practice social distancing by keeping a distance of about six feet from others if you must go out in public. 3. Wash your hands often with soap and water for at least 20 seconds, especially after being in a public place, or after blowing your nose, coughing or sneezing.

If soap and water are not readily available, use a hand sanitizer with at least 60% alcohol. 4. Avoid touching your eyes, nose or mouth with unwashed hands. 5. Avoid close contact with people who are sick. 6. Stay home if you are sick, except to get medical care. 7. Cover your nose and mouth with a tissue when coughing or sneezing; throw used tissues in the trash. If a tissue isn’t available, cough or sneeze into your elbow or sleeve, not your hands.

ঢাকাসহ দেশের ১৪ জেলায় মঙ্গলবার বিকাল থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাসে তাদের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হতে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউন করে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে ভর্তি দুই রোগী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৬৫ এবং অপরজনের ৩২ বছর। বুধবার সন্ধ্যায় ঢামেকের সহকারী পরিচালক (অর্থ) ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ যুগান্তরকে জানান, মঙ্গলবার হাসপাতালের আইশোলেশন ওয়ার্ডে সর্দি-কাশি উপসর্গ নিয়ে ওই দু’জন ভর্তি হন।

তাদের মধ্যে একজন মঙ্গলবার রাত ১০টায় এবং অপরজন বুধবার ভোর ৫টায় মারা যান। লাশগুলো ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, দু’জনের নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।

রিপোর্ট পেলে জানা যাবে তারা করোনায় মারা গেছে, নাকি অন্য কোনো সমস্যায় মারা গেছে। তবে রিপোর্টে পজিটিভ এলে যথাযথ পদ্ধতিতে লাশ দাফন করা হবে। আর নেগেটিভ এলে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যুগান্তর প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) : ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ-পূর্ব ধাওয়া গ্রামের এক ব্যক্তি জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলাব্যথা নিয়ে মঙ্গলবার মারা যান। আর এ আতঙ্কের কারণে ওই গ্রামের ২৩৫টি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই বাড়িটিকে লকডাউন করা হয়েছে।

ওই ব্যক্তির লাশ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের আগে মা ও ভাই গোসল করান এবং ঘরের মধ্যে জানাজা হয় বলে ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছিদ্দিকুর রহমান জানান। ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এইচএম জহিরুল ইসলাম জানান, ওই ব্যক্তির নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের গৌরীপুরের এক গৃহবধূ শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুধবার মারা যান। ভাণ্ডারিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছিল; কিন্তু ওই নারীর কোনো করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

এ ছাড়া ইন্দুরকানীতে শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধা মারা গেলে পরিবারের লোকজন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার উত্তর ভবানীপুর গ্রামে ওই নারী মারা যান। তার স্বজনরা জানিয়েছেন, কোনো করোনার উপসর্গ মনে হয়নি, স্বাভাবিক জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকায় স্থানীয় চিকিৎসা নেয়া হয়েছে। খবর শুনে পুলিশ গিয়ে ওই পরিবারের লোকজনকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছে।

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) : ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের গোল্লা জয়পুর গ্রামে মঙ্গলবার রাতে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথায় এক কলেজছাত্র মারা গেছে। ওই ছাত্রের বোন ও ভাগনির গলাব্যথা হলে করোনাভাইরাস সন্দেহে ময়মনসিংহের এক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওই রাতেই উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের মধুপুর বাজারের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তিনি এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নুরুল হুদা খান জানান, শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমা রোগী হিসেবে তার মৃত্যু হয়েছে।

বগুড়া : করোনাভাইরাস সন্দেহে বুধবার আরও দু’জনকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে এক কিশোর সন্ধ্যায় মারা যায়। সে ৬-৭ দিন ধরে পা ব্যথা, পা ফুলে যাওয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। সন্ধ্যায় তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ফেনী : করোনা উপসর্গ নিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার দুপুরে ফেনী সদর উপজেলার পশ্চিম ছনুয়া গ্রামে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন। তিনি জানান, বিকালে ওই যুবকের নমুনা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজ (বিআইটিআইডি)-এ পাঠানো হয়েছে।

রাজবাড়ী : জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিট থেকে ঢাকায় পাঠানো সেই ব্যক্তি মারা গেছেন। হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে দুপুরে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পৌঁছানোর পর সেখানে তাকে ভর্তি না নিয়ে সেখানকার ডা. মামুন নামে একজন মেডিকেল অফিসার সাত দিনের ওষুধ লিখে দিয়ে রাজবাড়ীতে ফেরত পাঠান। সেখান থেকে রাজবাড়ী ফিরে আসার পথে রাতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরির মধ্যে তার মৃত্যু হয়।

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) : ফুলবাড়ীতে ঢাকা ফেরত এক ব্যক্তি বুধবার বিকালে নিজ বাড়িতে এসে মারা গেছেন। এ নিয়ে ওই এলাকায় করোনাভাইরাস আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফুলবাড়ী হাসপাতালের মেডিকেল টিম সেখানে নমুনা সংগ্রহ করে। ফুলবাড়ী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ফজিলাতুন্নেছা বন্যা জানান, তিনি দীর্ঘদিন যক্ষা রোগে ভুগছিলেন।

ঝালকাঠি ও কাঁঠালিয়া : কাঁঠালিয়ার আমুয়ায় জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিন বছরের শিশু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মারা গেছে। এ ঘটনায় ওই বাড়ির ৬ পরিবারের ৩০ জনকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. তাপস কুমার তালুকদার জানান, ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দীন, থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় ও ইউপি চেয়ারম্যান ফোরকান সিকদারসহ আমরা একাধিক চিকিৎসক ঘটনাস্থলে যাই।

সাতক্ষীরা : কালীগঞ্জ উপজেলার বন্দকাটি গ্রামে বুধবার ভোরে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গ্যাসজনিত কারণে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজউদ্দিন বলেন, ওই গৃহবধূ কীভাবে মারা গেলেন, তা যাচাই করার জন্য বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৈয়াবুর রহমান বলেন, তিনি বন্দরকাটির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সেখানে যাওয়ার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।

শরীয়তপুর : শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা নড়িয়া উপজেলার মোকতারেরচর ইউনিয়নের ব্যাপারীকান্দি গ্রামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার স্ত্রীসহ আশপাশের ২১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছেন উপজেলা প্রশাসন। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মনির আহম্মেদ খান জানান, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া এক রোগী মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় মারা গেছেন।

পাবনা : পাবনা সদর উপজেলার গাছপাড়া গ্রামে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় মঙ্গলবার সকালে নিজ বাড়িতে এক ব্যক্তি মারা যান। জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানান, ওই ব্যক্তি যে করোনাভাইরাসে মারা যাননি- এটা নিশ্চিত করেই বলতে পারি। পাবনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কেএম আবু জাফর বলেন, ওই ব্যক্তি স্বাভাবিক শ্বাসকষ্টজনিত রোগে মারা গেছেন।

নড়াইল : নড়াইলে জ্বর-শ্বাসকষ্ট ও বমিতে মারা যাওয়া যুবককে গোসল-জানাজা ছাড়াই মঙ্গলবার রাতে কবর দিয়েছেন পরিবারের তিন সদস্য। নড়াইল পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এহসান হাবীব তুফান জানান, ওই পরিবারের সদস্যরা হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।

নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান বাবু জানান, ওই রোগী স্ট্রোকে মারা গেছেন। আমরা আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। কর্তৃপক্ষ ওই লাশ দাফনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের কথা বলেছে।

ভোলা : জেলা সদর হাসপাতালে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া এক রোগীর মারা যাওয়া নিয়ে তোলপাড় চলছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তির নির্দেশ দেয়া ওই রোগীকে ওয়ার্ডবয়রা করোনা আইসোলেশনে নিয়ে যায়। এর পরই মারা যান ওই রোগী।

হাসপাতালের আরএমও ডা. তৌয়বুর রহমান জানান, ওই রোগী হার্ট অ্যাটাকে মারা যেতে পারেন। তার শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ ছিল না। পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তির নির্দেশ দেয়া রোগী করোনা আইসোলেশনে নেয়ার বিষয়টি ভুল ছিল। এ নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম/সীতাকুণ্ড : চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আনুমানিক ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরের মৃত্যু হলেও রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি রাতে যুগান্তরকে বলেন, জ্বর ও কাশি নিয়ে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ছেলেটি। সেখানে পরীক্ষায় তার নিউমোনিয়া পাওয়া যায়। করোনা সন্দেহে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, আইসোলেশনে মারা যাওয়া ওই কিশোরের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে করোনা শনাক্ত হয়নি। এদিকে ওই কিশোরের সঙ্গে থাকা তার বাবার শরীরের রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে বলে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অসীম কুমার নাথ জানিয়েছেন।

এদিকে, সীতাকুণ্ডে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রফিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া এক নারী মারা গেছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ওই নারী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

Jobs Post

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button