Get Free Money Form The Government
Get Free Money Form The Government. The finance ministry has released Tk 1,256 crore to one and a half thousand rupees to 5 million poor families affected by the corona. The money was released on Monday (May 11) from two branches of the finance ministry’s finance department.
আগামী ১৪ মে এই কার্যক্রম উদ্ধোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ঈদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত এটা বিতরণ কার্যক্রম চলবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ৫০ লাখ পরিবারকে নগদ আড়াই হাজার টাকা করে দেয়ার জন্য সোমবার মোট ১ হাজার ২৫৭ কোটি ছাড় করা হয়েছে। এ কার্যক্রমটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেখভাল করা হচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুকূলে অর্থ বিভাগ এ টাকা ছাড় করেছে। অর্থ বিভাগের বাজেট-১ শাখা থেকে ছাড় করা হয়েছে ৬২৭ কোটি টাকা, আর বাজেট-৩ শাখা থেকে ছাড় করা হয়েছে ৬৩০ কোটি টাকা। এসব টাকা সুবিধাভোগীদের মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর জন্য সার্ভিস চার্জ বাবদ ছাড় করা হয়েছে আরও সাত কোটি টাকা।
Get Free Money Form The Government. Apply Link
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমন বলেন, আজকে অর্থছাড় করা হয়েছে। আগামী ১৪ তারিখ প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর ১০ লাখ পরিবারকে এ অর্থ দেয়া হবে। এর পরবর্তী চার দিন ৪০ লাখ পরিবারকে এ অর্থ দেয়া হবে।
জানা গেছে, উদ্যোগটির সঙ্গে জড়িত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। আর পরিবার চিহ্নিত করা হয়েছে স্থানীয় সরকার অর্থাৎ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের সাহায্যে। তালিকায় রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকসহ পরিবহন শ্রমিক, হকারসহ নানা পেশার মানুষকে রাখা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পরিবারগুলোকে টাকা দেয়া হবে মূলত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে। এর মধ্যে রয়েছে বিকাশ, রকেট, নগদ এবং শিওরক্যাশ। অর্থাৎ নগদ সহায়তা হলেও কাউকে নগদে টাকা দেয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে এমএফএসে বড় আকারের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সরকারকে। টাকা পৌঁছানোর জন্য এমএফএসগুলো পাবে প্রতি হাজারে মাত্র ছয় টাকা। হাজারে ছয় টাকা হিসাবেই পৌঁছানোর মোট খরচ দাঁড়ায় সাড়ে সাত কোটি টাকা। এ টাকা সরকার বহন করবে। পরিবারগুলোর কোনো টাকা দিতে হবে না। এ কারণে খরচের জন্য আলাদাভাবে সাত কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
মোট ৫০ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পাঠানোর কাজের মধ্যে বিকাশের ভাগে রয়েছে ১৫ লাখের দায়িত্ব। সবচেয়ে বেশি ১৭ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পাঠাবে নগদ। বাকি ১৮ লাখ পরিবারের কাছে এ টাকা পৌঁছাবে রকেট ও শিওরক্যাশ।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সুখবর পেল প্রাথমিকের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী। গত ছয় মাসের বকেয়া উপবৃত্তি সঙ্গে এবারই প্রথম স্কুল ড্রেস, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য টাকা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এতে সব মিলিয়ে একজন শিক্ষার্থী ১ হাজার ৬০০ টাকা করে পাচ্ছে। মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত অর্থ ছাড়ের আদেশ দেওয়া হয়েছে। ঈদের আগেই অভিভাবকদের ফোনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পৌঁছে যাবে।
প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্পের (তৃতীয় পর্যায়) পরিচালক মো. ইউসুফ আলী জানান, আগামী ১৪ মে’র মধ্যে উপবৃত্তির তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির অর্থ বিতরণের জন্য সুবিধাভোগীর তালিকা রুপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশের পোর্টালে আপলোডের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অধিদপ্তরের আদেশে বলা হয়, সরকার রমজানের ঈদের আগেই উপবৃত্তির অর্থ সুবিধাভোগীদের মোবাইলে পাঠাতে চায়। ১৪ মে’র মধ্যে উপবৃত্তির সুবিধাভোগীর তালিকা রুপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশের পোর্টালে আপলোডে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অধিদপ্তর থেকে প্রকল্প পরিচালককে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, উপবৃত্তির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুসারে, এ প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেস, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য ১ হাজার টাকা করে অ্যালাউন্সও একইসঙ্গে দেওয়া হবে।
জানা যায়, প্রতি কিস্তিতে তিন মাসের অর্থ একসঙ্গে দেওয়া হয়। এবার ছয় মাস বকেয়া থাকায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির ৬০০ টাকা একসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রকল্পের মেয়াদ গত ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাওয়ায় সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা গত অক্টোবর থেকে উপবৃত্তির অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। করোনার মধ্যে একনেক সভা না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো যাচ্ছিল না। তবে প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অতি সম্প্রতি এই প্রকল্পের মেয়াদ আগামী জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করায় করোনার মধ্যেও অর্থ ছাড় করা সম্ভব হচ্ছে।
দেশের ৬৬ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের সবাই সরকারের দেওয়া উপবৃত্তি পেয়ে থাকে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী মাসে ১০০ টাকা করে উপবৃত্তি পেয়ে থাকে।
এছাড়া জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে নতুন স্কুল ড্রেস, ব্যাগ ও জুতা কেনার জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ৫০০ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত জানুয়ারিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এ অর্থ ছাত্রছাত্রীরা পায়নি এতদিন। এখন তা বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করে নির্ধারণ করে অর্থ ছাড় করা হচ্ছে।