Primary Assistant Teacher Job Noticed 2020
কোটা থাকছে না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষকদের পদ ১৩তম গ্রেড ঘোষণা হওয়ায় কোটা তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে নির্ধারিত ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা বহাল থাকছে। এ ধারাবাহিকতায় সেপ্টেম্বরের শেষে অথবা অক্টোবরের প্রথম দিকে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ২৫ হাজার ৩০০ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক ও ১০ হাজার শূন্যপদে (এ সংখ্যা কমবেশি হতে পারে) সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে ওয়েবসাইট আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। জানা গেছে, প্রাক-প্রাথমিক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে ডিপিই থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এতে আগের সব কোটা বাতিল করা হয়েছে। কোটাগুলো হলো- মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি, আনসার-ভিডিপি, প্রতিবন্ধী ও জেলা কোটা। সহকারী শিক্ষকদের যোগদানের পর ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করায় কোটা বাতিল করা হয়েছে। নির্ধারিত ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা বহাল হয়েছে।
প্রার্থীর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে। আবেদনকারী নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (পাস) বা সমমান ডিগ্রি করা হয়েছে। গত বছর অনলাইন আবেদন ফি ১৬৬ টাকা হলেও এবার আবেদন ফি কিছুটা বাড়ানো হচ্ছে।
বুয়েট ও টেলিটক মোবাইল কোম্পানির সহায়তায় আবেদন গ্রহণ, কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠানো, খাতা মূল্যায়ন ও ফল প্রকাশ করা হবে। চলতি মাসের শেষে অথবা অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অনলাইন আবেদনের জন্য এক মাস সময় দেয়া হবে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) এ এম মনসুর আলম রোববার বলেন, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ২৫ হাজার ৩০০ জন নিয়োগ দেয়া হবে। এটি প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (পিইডিপি) এর আওতাভুক্ত হলেও প্রকল্পের মেয়াদ শেষে এ স্তরের শিক্ষকদের রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এছাড়া শূন্য সব পদে আরও ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে। দুই স্তরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অধিদফতর থেকে পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদন করে চলতি সপ্তাহে পাঠানো হবে। এরপর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ নিয়োগের পরবর্তী কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, সর্বশেষ সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে সব কোটা বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী নারী, পোষ্য ও পুরুষ কোটা বহাল থাকবে। সে অনুযায়ী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।