করোনাভাইরাস চিকিৎসায় এগিয়ে এলো স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস
করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ডাক্তার এবং নার্সদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের অন্যতম প্রধান ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। শনিবার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মে. জে. মো. মাহবুবুর রহমানের হাতে ১০ হাজার পিপিই’র প্রথম চালান তুলে দেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আনিকা চৌধুরী।
এ বিষয়ে স্কয়ারের কোম্পানি সচিব খন্দকার হাবিবুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পিপিই’র একটি চালান হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ওই অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম না। সে কারণে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। মহামারী করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের এই উদ্যোগের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির প্রশংসা করেছেন অনেকে। কেউ এই সহায়তার পাশাপাশি গ্রাম অঞ্চলে হাসপাতাল করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাতে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ১০ হাজার পিপিই’র প্রথম চালান তুলে দেয়া সংক্রান্ত ফেসবুকের এক পোস্টে মো. রাজীব নামের একজন লিখেছেন, মানবতার সেবায় এভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ধন্যবাদ স্কয়ার। আমরা কেমিস্ট অ্যান্ড ফার্মাসিস্ট যারা আছি আমাদের জন্য কিছু একটা বরাদ্দ করা উচিত। আমরা তৃণমূল থেকে স্কয়ারের অনেক প্রোডাক্ট জনগণের কাছে পৌঁছে দিই। তৃণমূল জনগণের সাথে কাজ করি। আমাদের নিরাপত্তার জন্য কিছু একটা করলে কৃতজ্ঞ হব।
শাবনাম মোস্তারী নামের আর একজন লিখেছেন, প্রশংসনীয়, দেশের শীর্ষ কোম্পানিটির শীর্ষ ব্যক্তির অভাব শুধু সংশ্লিষ্ট কোং না ,দুর্দিনে দেশের সকল মানুষই আজ বুঝলো। মুক্তিযুদ্ধকালীন স্যামসং এইচ চৌধুরীর কথা সবাই জানেন। ইন্টারনেট, মোবাইল, কম্পিউটারহীন এক দুনিয়া তিনি যেভাবে আন্তর্জাতিক সমর্থন সাহায্য সহযোগিতা এদেশের জন্য করেছিলেন, তা অমর অক্ষয় হয়ে থাকবে। আজ তাকে সালাম জানাই।
তিনি আরও লিখেছেন, প্রশ্ন-তার উত্তরসূরীরা কি তাদের আদলে সংকটে সমাধানে যোগাযোগে প্রশংসনীয় ভূমিকার ধারাবাহিতা অব্যাহত রাখতে পারবে ? আমরা এ কোম্পানি ও নির্বাহীদের উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।
মুসার দাস নামের একজন লিখেছেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপিদের প্রত্যন্ত এলাকার অনেক রোগী দেখতে হয়। তাদের জন্য পিপিই বরাদ্দ দেওয়া দরকার।
কাজী আলী আমিন লিখেছেন, ডাক্তারদের মাসোহারা ৬ মাস বন্ধ রেখে দেশের মানুষের সেবায় ব্যায় করেন। কারণ আপনার কোম্পানির উপর অন্ধ ভক্তি রেখে ডাক্তার অন্য কোম্পানির ওষুধ লিখলেও, আপনার কোম্পানির ওষুধ কিনে খায়। তাই তাদের পাশে দাঁড়ান। এটাই ব্রান্ডিংয়ের কাজ করবে। আমরা আপনার কোম্পানির ওষুধ কিনে পুষিয়ে দেব।
সৈয়দ মান্নান লিখেছেন, অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে পিপিই দিলে হবে না। সরকারের অনুমতি নিয়ে সাধারণ জনগণের জন্য শহরের অদূরে হাসপাতাল নির্মাণ করুন প্লিজ। এদেশে পর্যাপ্ত হাসপাতাল নেই। আর অর্থ সংকটে হাসপাতালের আইসিইউ ও কম।
তৌহিদ রহমান নামের আর একজন লিখেছেন, দেরীতে হলেও অনেক ধন্যবাদ। দয়া করে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। এখানে যেন কোনো রাজনীতি না হয়। সত্যিকার অর্থে যেন ডাক্তারদের কাছে পৌঁছায়।
Source: https://www.jagonews24.com