NID দেখিয়ে কিনতে হবে ১০ টাকা কেজির চাল

করোনার কালে সহায়তা হিসেবে সরকার খোলাবাজারে বিক্রি কর্মসূচির (ওএমএস) চালের দাম কমিয়ে ১০ টাকা করেছে। এর আগে ওএমএসের চালের কেজি ৩০ টাকা ছিল। নতুন দামে আগামী রোববার থেকে চাল বিক্রি শুরু হচ্ছে। করোনার কালে সহায়তা হিসেবে সরকার খোলাবাজারে বিক্রি কর্মসূচির (ওএমএস) চালের দাম কমিয়ে ১০ টাকা করেছে। এর আগে ওএমএসের চালের কেজি ৩০ টাকা ছিল। নতুন দামে আগামী রোববার থেকে চাল বিক্রি শুরু হচ্ছে।

একজন মানুষ একবারে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন। সপ্তাহে কেনা যাবে একবার। আর চাল কেনার সময় দেখাতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)। খাদ্য মন্ত্রণালয় এক নির্দেশনায় এ বিষয়গুলো জানিয়েছে।
করোনা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে দেশে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। এ সময় শ্রমজীবী মানুষ কাজ পাচ্ছেন না। তাঁদের আয় কমে গেছে। এর মধ্যে বাজারে মোটা চালের দাম বেশ বেড়ে গেছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, বাজারে এখন মোটা চালের কেজি ৩৮ থেকে ৫০ টাকা, যা গত মাসের শুরুতে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকার মধ্যে ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ওএমএসের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রির কথা বলেন।
খাদ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন, আগামী রোববার থেকে চাল পাওয়া যাবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, গুদাম থেকে পরিবেশকেরা ৮ টাকা কেজিতে চাল কিনতে পারবেন। ক্রেতারা পাবেন ১০ টাকায়। বিক্রির সময় ক্রেতার বিস্তারিত তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মোবাইল নম্বরসহ) সংরক্ষণ করতে হবে। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে ক্রেতা হিসেবে নির্বাচন করা যাবে না। এ ছাড়া পরিবারের কেউ যদি খাদ্যবান্ধব অথবা ভিজিডি কর্মসূচির উপকারভোগী হন, তিনিও ১০ টাকা কেজির চাল কিনতে পারবেন না।

সপ্তাহে তিন দিন রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চাল বিক্রি করা হবে। নিম্ন আয়ের মানুষেরা যেসব এলাকায় বসবাস করেন, সেখানে চালগুলো বিক্রি করা হবে। Source: Prothom Alo

Jobs Offer

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button